,

বাহুবলে ভাইকে উচ্ছেদ করার পায়তারা :: বেড়া দিয়ে গৃহবন্দী

বাহুবল প্রতিনিধি : বাহুবল উপজেলার চিচিরকোর্ট গ্রামে আপন ভাই কর্তৃক ভাই ও তার পরিবারকে বসতভিটা উচ্ছেদ করার এক ঘৃণ্য পায়তারার খবর পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিনের এই বর্বর ঘটনার পায়তারাকে কেন্দ্র করে নির্যাতিত ভাই আদালতে মামলা করার পরও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উচ্ছেদে পেশি শক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। জানা যায়, চিচিরকোট গ্রামের নিজাম উল্যার পুত্র আব্দুন নূর কয়েক বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। আব্দুন নূর দুটি বিবাহ করেছিলেন। প্রথম সংসারের একমাত্র পুত্র আব্দাল মিয়া ও এক কন্যা সন্তান জায়েদা বিবি। পরবর্তী দ্বিতীয় সংসারের পুত্র আব্দুল আলী, আঙ্গুরা বিবি, রেনু বিবি। পিতা জীবিত থাকতেই পুত্র আব্দাল মিয়া স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্রীমঙ্গল এলাকায় জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে পিতা আব্দুন নুর আব্দাল মিয়াকে নিজ বাড়িতেই (মোট ৪১ শতাংশের কিছু অংশে) বসতঘর তৈরী করে দিলে তিনি নিজ বাড়িতেই অদ্যাবদি বসবাস করে আসছেন। কিন্তু পিতা মারা যাওয়ার পর আব্দাল মিয়ার বিমাতা ভাই আব্দুল আলী পেশি শক্তির অধিকারী হওয়ায় আব্দাল মিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির ভিটে মাটি দখলের নিমিত্তে নিরীহ আব্দাল মিয়াকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালায়। গ্রামের মুরুব্বীদের দ্বারস্থ হলেও গ্রামের কেউই আব্দুল আলীকে নিবৃত্ত করতে পারেননি। অবশেষে মুরুব্বীদের পরামর্শে নির্যাতিত আব্দাল মিয়া বিমাতা ভাই আব্দুল আলীর নির্যাতন থেকে বাচতে এবং নাগরিক অধিকার ভোগ করতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের দ্বারস্থ হন। পুলিশী তদন্তে আব্দাল মিয়ার দখলীয় অংশে বসতি স্থাপনের সত্যতা উঠে আসে এবং আদালতের নির্দেশে শান্তি রক্ষার স্বার্থে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কার্যকর ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। বিষয়টি আদালতে বিচাররাধীন থাকা সত্বেও পেশি শক্তির আব্দুল আলী ভাই আব্দাল মিয়ার বসতঘরের চতুর্দিকে বেড়া দিয়ে গৃহবন্ধী করে রাখে। এই অবস্থায় আব্দাল মিয়া গত ১৯ অক্টোবর হবিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা দায়ের করায় আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে আব্দুল আলী। স্বেচ্ছায় আব্দাল মিয়া বসতি ছেড়ে না গেলে রক্ত ঝড়বে বলে হুংকার ছাড়ে আব্দুল আলী। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই বাড়ির জায়গার একটি সুবিধাজনক অংশ খরিদ করতেই পিছনে কলকাটি নাড়ছে আড়ালে থাকা একটি অপশক্তি। প্রতিনিয়ত আব্দুল আলীকে সাহস ও ইন্ধন যোগাচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল আলী জানান- ৪১ শতাংশের মাঝে ১২ শতক ভিটে বোন আঙ্গুরা খরিদা সূত্রে মালিক। ওই ১২ শতকের মাঝেই আব্দাল মিয়া বসতঘর বানায়। ওয়ার্ড মেম্বার ইদ্রিছ মিয়া বলেন- তাদের পারিবারিক বিরোধ মিটাতে স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ হয়েছে। আবারো আমরা তাদের বিরোধ মিমাংসার চেষ্টা চালাবো।


     এই বিভাগের আরো খবর